গড়পড়তায় সৌন্দর্য প্রসাধনীগুলোয় ১২টি রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু থেকে লোশন এমনকি সানস্ক্রিন ও মাউথওয়াশেও এসব উপাদান রয়েছে। এক-তৃতীয়াংশ প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত। তাই ভালো রূপচর্চায় প্রসাধনী কেনার আগে তাদের ওয়েবসাইট চেক করুন, কী দিয়ে তৈরি এসব পণ্য। যদি এ ১২টি রাসায়নিক উপাদান থাকে, তাহলে সেগুলো পরিহার করাই ভালো
Prefixes Ethyl, Methyl, Butyl or Propyl : এটা বিভিন্ন ফর্মুলাযুক্ত প্রিজারভেটিভ। এটা বেশি ওজন ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। লোশন ও শ্যাম্পুতে পাওয়া যায়।
Fragrance, DEHP, DHP, DBP 5, Dibutyl Phthalate : Phthalates এক ধরনের এসিড। সাধারণত প্লাস্টিকে ব্যবহার করা হয় নমনীয়তা, স্বচ্ছতা, স্থায়িত্ব ও পণ্যের আয়ু বাড়াতে। শুক্রাণুর ক্ষতিসাধন ও বন্ধ্যত্ব তৈরি করতে সক্ষম এ উপাদান। নেইল পলিশ, শ্যাম্পু, ডিওডোর্যান্ট, লোশন ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
Dyes : Blue 1, Yellow 5 & 6, Red 33 : এটা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। চুলের রঙ, মেডিকেটেড শ্যাম্পুতে পাওয়া যায়।
Triclosan, Chloro, Phenol, Irgasan : এটা সাধারণত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট। থাইরয়েডের সমস্যা, দেহে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়ক। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, শ্যাম্পু, ফেসিয়াল ক্লিনজার, টুথপেস্ট, ডিওডোর্যান্ট ইত্যাদিতে থাকে।
3-(4-methylbenzylidene)-camphor (4-MBC), octyl-methoxycinnamate (OMC), octyl-dimethyl-PABA (OD-PABA), bexophenome-3 (Bp-3), homosalate (HMS) : সানস্ক্রিন কেমিক্যাল। এটা মূলত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ত্বকে প্রবেশে সাহায্য করে। সানস্ক্রিনে পাওয়া যায়।
Polyethylene glycol propylene glycol, polyoxyethylene, polyethoxyethylene, polyethoxyethylene mineral oil : পেট্রোলিয়াম উপজাত। ক্যান্সার, লিভার ও কিডনিতে প্রভাব ফেলে। লোশন তৈরিতে লাগে।
Petrolatum : পেট্রোলিয়াম উপজাত। ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। লোশনে পাওয়া যায়।
Lead acetate, thimerosal, mercurius solubilis, mercurius sublimates, mercurius corrosives, mercuric chloride : লেড ও পারদ। উচ্চহারে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। চুলের রঙ, কৃত্রিম অশ্রু, কাজলে থাকে।
Isobutene : অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ময়েশ্চারাইজার, শেভিং ক্রিমে থাকে।
Placenta : প্ল্যাসেন্টার নির্যাস। বিষাদে আক্রান্ত হওয়ার হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়ক। ত্বক ও চুলের কন্ডিশনার তৈরিতে ব্যবহার হয়।
Hydroquinone : এক ধরনের ফেনল-জাতীয় পদার্থ। চামড়ায় নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়। ত্বক ফর্সাকারী পণ্যে পাওয়া যায়।
Nano zinc oxide <100mm : ন্যানো পারটিকেলস। এখনো এর সেফটি পরীক্ষিত নয়; কিন্তু এটা রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করাসহ নার্ভেও প্রভাব ফেলতে পারে। সানস্ক্রিন, লোশনে পাওয়া যায়।
এখন আমাদের করণীয় এ রাসায়নিক পদার্থগুলো আছে এমন পণ্য পরিহার করা। হয়তো অনেক পণ্যই আমরা একেবারে ব্যবহার করা ছেড়ে দিতে পারব না কিন্তু সেগুলোর সীমিত ব্যবহার শরীরের সুরক্ষায় কাজে আসবে।
0 comments:
Post a Comment