কাজের চাপ সামাল দিতে...


ব্যস্ততা বা ভুলে যাওয়ার কারণে অনেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সময়মতো করতে পারেন না। এতে কর্মক্ষেত্রের যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও বাদ যেতে পারে

সকালে ঘুম থেকে উঠেই হুলুস্থুল। দিনটা কেন ২৪ ঘণ্টার না হয়ে আরো বেশি সময়ের হলো না? অফিস কিংবা বাসায় জমে আছে একগাদা কাজ?

এমন পরিস্থিতিতে প্রথম কাজ হলো গুরুত্ব ও ধারাবাহিকতা অনুসারে কাজ সাজিয়ে নেয়া। প্রয়োজনে একটি সাদা কাগজে সূচি তৈরি করে নিতে পারেন। কাজগুলো ঘণ্টা বা দিন হিসেবে ভাগ করে নিন। ব্যবহার করতে পারেন নোটবুক বা ক্যালেন্ডারও। যে কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা শুরু করুন সবার আগে। কাজ শেষ হলে চলে যান পরেরটিতে, যেটি আছে গুরুত্বের তালিকার পরের ধাপে।

পরিস্থিতিই ঠিক করে দেবে, কোন কাজটি এখন না করলেই নয় আর কোনটি পরে করলেও চলবে। এক্ষেত্রে অফিসের কর্তাব্যক্তির নির্দেশনা ও পরামর্শ নিতে পারেন। কোনো কোনো কাজ আগ থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। তা আর পেছানোর সুযোগ থাকে না। ধরা যাক, কারো সঙ্গে জরুরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে অথবা মিটিং। এসব বিষয় কিন্তু কোনো অবস্থায়ই এড়ানো যায় না। তবে হররোজ তো আর সভা থাকে না। এমন অনেক কাজ আছে, যাতে সময়ের বাধ্যবাধকতা থাকে না। সেক্ষেত্রে জটিল কাজগুলো দুপুর বা বিকালের কর্মঘণ্টায় না রেখে সকাল সকাল করে ফেলুন। সাধারণ কাজগুলো রাখুন বিকালের জন্য।

অফিসে ঢুকতে প্রায়ই ৫-১০ মিনিট দেরি করা, অফিসে ব্যক্তিগত কাজ বা ঝামেলা টেনে আনা, অফিসের ফোনে দীর্ঘ সময় কারো সঙ্গে খোশগল্প করা, কারো সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট থাকলে সময়মতো না পৌঁছানো, ফাইল বা কাগজ কোনো অফিসে পাঠানোর কথা থাকলে দেরিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা, কোনো সভায় দেরি করে উপস্থিত হওয়া, অফিস থেকে আগেভাগেই বেরিয়ে যাওয়া— এ ধরনের অভ্যাস থাকতে পারে আপনার মধ্যেও। এতে আপনারই সময় নষ্ট হয়। এ ধরনের কৃত্রিম জট এড়াতে দূর করুন এসব ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস। দিনের শুরুতেই দেখে নিন, হাতে কী কী কাজ আছে। পরিকল্পনা করে নিন, কোন কাজটি আগে করবেন। অফিসের সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে কোন কাজটি কখন করবেন, ঠিক করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় আগের দিনই কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে নিলে। চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে। কাজ বাছাই করলেন, এর মানে এই নয় যে, কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন। কাজটি পরে হলেও আপনাকেই করতে হবে। তাই অফিসের কোনো কাজই ফেলে রাখা নয়। সব কাজই করতে হবে গুরুত্বসহকারে। কখনো মনে হতেই পারে, কাজটি আজ না করে আগামীকাল করব। কালকের জন্য যে কাজটি ফেলে রাখলেন, কোনো কারণে কাল সেটি করা সম্ভব নাও হতে পারে।

ব্যস্ততা বা ভুলে যাওয়ার কারণে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ সময়মতো করতে পারেন না। এতে কর্মক্ষেত্রের যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও বাদ যেতে পারে। এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে দিনপঞ্জি বা নোটবুকের পাশাপাশি প্রযুক্তিও হতে পারে সহায়ক। ডিজিটাল নোটবুক বা সেলফোনের রিমাইন্ডার সুবিধা নিন। কম্পিউটার প্রযুক্তিতেও আছে এ ধরনের সুবিধা।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!