মাত্র এক সাপ্তাহের ব্যাবধানে ৪ টি তাজা প্রান অকালে প্রান হারালো সামাজিক বেশ্যাবৃত্তির কারনে। শিশু সামিউল মায়ের বেশ্যাগীরির কারনে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল আর তারো ৩ দিন আগে বাবার লালসার শিকার হয়ে মা-সন্তান আত্নহত্যা করলো ঢাকা শহরে। এমন ঘটনা এত বেশি ঘটছে যে আগের মত আমাদেরকে এসব আর বেশি সময় শোকে কাতর করতে পারেনা।
বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকা এখন বেশ্যাদের নগরীতে পরিনিত হয়েছে। এখানে অকাতরে নারী পুরুষ নিজেদের শরীল বিক্রি করছেন। কি গুলশান আর কি মগবাজারের বস্তি সবজায়গায় একই অবস্থা। কি ঢাবির ক্যাপাস কি নর্থসাউথের ক্যাম্পাস, বেশ্যারা সর্বত্র তাদের নেটওয়ার্ক বিসৃত করেছে। কুকুরের মত কেউ রিক্সা,কার, ফুটপাত, গাছের আড়ালে সারছে তাদের জৈবিক আকাম।
যাহোক এবার শিরোনামের ব্যাপারে আসি। গত কিছুদিন আগে দেশ টিভিতে একটি সেমিনার এর খবর পরিবেশিত হচ্ছিল। তাতে বিশিষ্ট নাট্যকার,অভিনেতা মামুনুর রশীদ বলছিলেন হিন্দি চ্যানেলগুলা বন্ধ করে দিতে, কারন হিসাবে তিনি বলছিলেন ঢাকা শহরের ৬০% ডিভোর্স এবং পারিবারিক কারন হচ্ছে হিন্দি চ্যানেলের সিরিয়ালগুলি। অবশ্য যথারীতি তার একথার প্রতিবাদ করেন আরেক মিডিয়া ব্যাক্তিত্ত রামেন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করা যাবেনা।
মামুনুর রশীদ যে ঠিক বলেছেন আমি শিউর, কারন সিরিয়ালগুলাতে শিখানো হয় পরকীয়া এবং কিভাবে অবৈধ সম্পর্ক করা যায় তা। আর আমাদের তরুনীরা এসব সিরিয়াল দেখি চিপা চিপা প্যান্ট পড়ে আর ছেলেরা তা দেখে ইভটিজিং করে। দোষ সবার , আর ধমীয় অনুশাসন না থাকা এসব অপরাধকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসুন আমরা আমাদের ঘর সামলাই এরপর সমাজ তারপর দেশ।
মিডিয়া সমাজ বিনির্মাণে অথবা ধংসের প্রভাবক নয়কি?
0 comments:
Post a Comment