আনন্দ উপভোগ করুনঃ সংসার সুখের হয় যে ৫ গুণে


 
ঢাকা: সংসার মানেই স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, পরিবার পরিজনের যৌথ জীবন। এই যৌথ জীবনে খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ ও অমিল দেখা দেয়। আর এই অমিলের কারণে অনেক সময় ভেঙে যায় সুখের সংসার। তবে পাঁচটি বিষয়ে সচেতন থাকলে হয়তো এড়ানো যেতে পারে এই সমস্যা। তাহলে ঝটপট জেনে নেয়া যাক-
 
সুখস্মৃতির সন্ধান
 
সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক স্মৃতি থাকে। সেসব স্মৃতির কিছু যেন আনন্দের তেমনি আবার কিছু স্মৃতি বিষাদের। তবে বিষাদের স্মৃতি যত দ্রুত ভুলে যাওয়া যায় ততই ভালো। বরং জীবনের সুখস্মৃতিগুলো বারবার রোমন্থন করুন। হাস্যরসাত্মক স্মৃতি খুঁজে বেড়ান। ভালোলাগা কোনো হারানো স্মৃতি খুঁজে পেলে দেখবেন ঠিকই ভালো লাগবে। প্রসারিত করতে হবে দাম্পত্য জীবন।
 
কৃতজ্ঞতা বোধ
 
কৃতজ্ঞতাবোধ এমন একটি গুণ যা প্রতিটি মানুষেরই থাকতে হয়। তবে সংসার জীবনে এটি অত্যন্ত জরুরি। সংসারে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই দুজনের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, আপনার এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ একতরফা ছিল না। আপনার জীবনসঙ্গী  যদি কোনো কারণে মনে কষ্ট পায়, তাহলে যথাসম্ভব চেষ্টা করুন সেই কষ্ট দূর করতে। জীবন সঙ্গী যখন আপনাকে বুঝবে তখন আপনি তাকে একটু হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং তার প্রসংশা করুন, ধন্যবাদ দিন।
 
আবেগী জীবন
 
অনেকেই প্রতিনিয়ত ছুটে চলার নামই জীবন বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। অনেকে কেবল মাত্র অর্থ, যশ, খ্যাতি প্রভৃতির পেছনে ছুটে নিজেকে এবং আপনজনকে বঞ্চিত করেন সান্নিধ্য থেকে। যা একদমই ঠিক নয়। বরং জীবনটা ছুটে চলার পাশাপাশি উপভোগেরও। অর্থ, যশ, খ্যাতি সবার জীবনেই প্রয়োজন আছে। তবে এর জন্য প্রিয়জনকে আপনার সান্নিধ্য বঞ্চিত করবেন না।
 
জাগতিক প্রয়োজনেই মানুষকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হতে হয়। তবে কাজের ফাঁকে কিছুটা হলেও সময় বাঁচিয়ে রাখুন পরিবারের জন্য। একটু অবসর পেলে স্ত্রী/স্বামী, সন্তানকে ফোন করতে পারেন। আর ছুটির দিনগুলো পুরোটাই বরাদ্ধ রাখুন পরিবারের মানুষগুলোর জন্য।
 
সম্পর্কের সেতুবন্ধন
 
মনে রাখতে হবে, কারো জীবনই নিখুত নয়। জীবনসঙ্গীকে নিয়ে হয়তো অনেক প্রত্যাশা অপূর্ণ থাকবে এবং  জীবনে কিছু বিষয়ে মতের অমিল থাকবে। আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো সবকিছু পাবেন না। তারপরও আপোশ করবেন, তাহলে আপনি নতুন জীবন খুঁজে পাবেন।
 
বিয়ে হচ্ছে একটা পবিত্র সম্পর্ক। এই পবিত্র সম্পর্ক বজায় রাখতে নিজেদের সচেষ্ট হতে হবে।  পরস্পরের ভালোলাগা-মন্দলাগা বুঝতে হবে। দুজনের বোঝাপড়া ভালো হলে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হবে স্বর্গময়।
 
আনন্দ উপভোগ করুন
 
বিবাহিত জীবন মানে বিলাসবহুল জীবন নয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে জীবনটা ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলতে হবে। জীবনটা ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলতে দুজনকে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে একে অপরকে না বুঝলে জীবন সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব না। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হলে  জীবন সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব।
 
বোঝাপড়া ঠিক করতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই সবকিছুতে আনন্দ উপভোগ করতে হবে। একসঙ্গে কাজের মধ্যেও আনন্দ  ‍খুঁজে নিতে পারেন। দুজনে মিলে সপ্তাহে একদিন রান্না করুন কিংবা ঘর গোছানোর কাজ করতে পারেন। ছুটির দিনে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, সিনেমা দেখলেও আপনাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

Related Posts:

  • সঙ্গী যখন কর্মজীবী আমাদের জীবনে জীবনসঙ্গীই হল এমন একজন ব্যক্তি যার হাত ধরে জীবন সাজাবার সুযোগ থাকে যা অন্য কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে থাকেনা। তাই অন্য সব সম্পর্কের থ… Read More
  • অভিভাবক-সন্তানের সম্পর্ক পৃথিবীতে একটি শিশুর সব থেকে বড় আপনজন এবং প্রথম বন্ধু হয় তার বাবা মা। বিশেষ করে মায়ের সাথে জন্মের আগেই গড়ে উঠে নিবিড় মমতা আর নির্ভরতার এ… Read More
  • সাবেক মনের মানুষকে যে ১০টি মেসেজ কখনই দেবেন না জীবনের সব প্রেম যে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মতো হবে এমন কথা কে বলেছে। সবকিছুই শেষ হইয়া হইলো না শেষ! আহা। আমাদের ভালোবাসার সময় অবশ্যই জীবনের … Read More
  • নতুন মায়ের মন ভাল তো? নতুন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি জুড়ে উৎসব। দাদী-ফুফুদের কোলে কোলে ঘোরে সিফাতের প্রথম সন্তান। নানী-খালারাও প্রায় প্রতিদিনই ছুটে আসছে যাত্রাবাড়ি থে… Read More
  • নতুন বর সমাচার বিয়ে এমন একটি প্রথা যার মাধ্যমে দুই জন নর-নারীর জীবন এক সাথে এক সুতোয় গাঁথা পড়েন। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে বিয়ে শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!