চেহারায় ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্ব


চেহারায় ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্ব
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ঢাকা: ভবিষ্যত এবং ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে আর জ্যোর্তিষির কাছে ছোটাছুটি নয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে নিজেই বলে দিতে পারবেন আপনি কেমন ব্যক্তিত্বের অধিকারী অথবা আপনার ভবিষ্যত সম্ভবনা কেমন ইত্যাদি বিষয়।

কথায় বলে, ‘কপালের লেখন না যায় খন্ডন’। তাহলে শুরুতেই দেখা যাক কপালে কি লেখা রয়েছে।

গোলাকৃতির কপাল যাদের তারা সৃজনশীল, শিল্পমনা, আবেগী ধরনের হয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে যৌক্তিকতা একটু কম থাকে।

যাদের কপাল কিছুটা ঢালু আকৃতির, অর্থাৎ নিচের দিক থেকে একটু উচুঁ হয়ে ক্রমশ উপরে মাথার সঙ্গে মিশেছে তারা গোলাকৃতির কপালের অধিকারীদের ঠিক বিপরীত। এরা পেশাজীবি মনোভাবের হয় এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধ পরিকর। এমনকি তাদের ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে কারো আলোচনা বরদাস্ত করেন না।

আর যারা ব্রাড পিটের মতো সমতল কপালের অধিকারী তারা কাজ করার আগে ভেবে-চিন্তে তবেই সিদ্ধান্ত নেন।

কপালের পরেই ভ্রু। এবার একটু ভ্রুতে হাত বুলিয়ে দেখে নিন তো, আপনার ভ্রু জোড়া কি ঘন, হালকা নাকি গোলাকৃতি?

ঘন ভ্রু’র অধিকারীরা আত্মনির্ভরশীল ও যৌক্তিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আর যাদের ভ্রু জোড়া তুলনামূলক কম ঘন তাদের আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা কমতি রয়েছে। বাঁকানো বা গোলাকৃতির ভ্রু’র অধিকারীরা আবেগী ও কিছুটা সংবেদনশীল হয়।

ভ্রু জোড়ার পরেই তো চোখের অবস্থান। চোখ নাকি মনের কথা বলে। এবার চোখ দেখে মিলিয়ে নেয়া যাক চোখ আসলেই আপনার মনের কথা কতোটা বলে।

বড় ও সুন্দর চোখের অধিকারীরা বর্হিমুখী স্বভাবের হয়ে থাকেন। তারা অন্যের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে এবং সকলকে নিজের মতোই মনে করেন। ছোট চোখের অধিকারী ব্যক্তিরা সহজে সকল পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন না। আবেগ প্রকাশে তাদের একটু সময় লাগে।

যাদের চোখ জোড়া তুলনামূলক কাছাকাছি তারা যেকোনো পরিস্থিতি সহজেই নিজের অনুকূলে আনতে পারেন। এমনকি যেকোনো ফলাফলও খুব সহজেই নিজের পক্ষে নিয়ে আসার চমৎকার ক্ষমতা রয়েছে এদের। যাদের চোখ চওড়া তারা তুলনামূলক ধৈর্য্যশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পূর্ন হয়ে থাকেন।

চোখের পরেই নাক। যারা খাড়া নাকের অধিকারী তারা কাজের গুণগতমান রক্ষা এবং এর বিশদ বিবরণের বিষয়ে একটু বেশিই সচেতন। ছোট নাকের অধিকারীরা বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকেন কিন্তু এরা কম পরিশ্রমী। প্রচুর সম্ভবনা সত্ত্বেও এরা পারফেক্টসনিস্ট হয়ে উঠতে পারে না। তবে এদের লাজুক বা ধীর বলা যাবে না। চওড়া নাকের অধিকারী ব্যক্তিরা একইসঙ্গে আবেগী এবং দয়ালু। তারা বন্ধু ও পরিবারকে ভালোবাসতে ও সহায়তা করতে প্রস্তুত।

চেহারায় ঠোঁটের সৌন্দর্য্যরে কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। চওড়া ঠোঁটের অধিকারীদের কাছে সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক বেশি। চিকন ঠোঁটের অধিকারীদের মনের জোর প্রচন্ড। মনের জোরে তারা ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে এরা স্বাধীনচেতা এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্যের হস্তক্ষেপ পচ্ছন্দ করেন না। আর যাদের নিচের ঠোঁটটি তুলনামূলক মোটা তারা চাপ নিতে ভালোবাসেন। তারা ভালোবাসে জীবন উপভোগ করতে চায়।
চেহারার শেষের অংশ থুতনী। ব্যক্তিত্বে বুঝে নিতে থুতনীর গুরুত্বও কম নয়।

দ্বৈত থুতনী সৌভাগ্য ও ভবিষ্যতে প্রচুর ধনসম্পদের প্রতীক। এখন দ্বৈত থুতনী সম্পর্কে আগে একটু পরিষ্কার ধারনা প্রয়োজন। এটি হলো থুতনীর নিচের অংশটুকু আরেকটু ঝোলানো। যাদের থুতনী চিকন এবং নিচের দিকে লম্বাটা তারা সাধারনত মুডী ও অন্যকে দমিয়ে রাখতে পচ্ছন্দ করেন। গালের সঙ্গে ভরাট থুতনীর অধিকারীরা একরোখা ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকে। এছাড়া বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে পরেন এরা। ছোট থুতনীর অধিকারীদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা একটু কম থাকে। এরা সহজ-সরল জীবন যাপন করতেই বেশি ভালোবাসে।  ডিম্বাকৃতি ও কাটা থুতনীর অধিকারীরা অন্যের সহায়তা সদা প্রস্তুত এবং সর্বদাই স্পটলাইটে থাকতে ভালোবাসে।

যাদের সামনের দাঁতে ফাঁক থাকে তারা দূরদৃষ্টি সম্পূর্ন এবং ঝুঁকি গ্রহনে অনাগ্রহী হয়। আর যাদের সামনের দাঁত উচুঁ হয় তারা একরোখা ও অধৈর্য্যশীল হয়ে থাকে।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!