ঢাকা: গবেষণায় দেখা গেছে, তিন ধরনের লোক সুখী জীবনযাপন করেন। এক. যারা
মনে করেন তাদের জীবনে সুখকর অনেক কিছুই আছে, যা তাদের বেঁচে থাকতে প্রেরণা
জোগায়। দুই. যারা পরিবার, বন্ধু, সহকর্মীর মাঝে সুখ খুঁজে পান। তিন. যারা
জানেন জীবনের মানে কী, কেন তিনি বেঁচে থাকবেন? কোন পর্যন্ত তিনি নিজেকে
নিয়ে যেতে চান। অর্থাৎ জীবনের লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য যার ঠিক করা আছে। গবেষণায়
আরো দেখা যায়, ৬০ শতাংশ মানুষ তাদের আশপাশের সবকিছু থেকে সুখ বা আনন্দ
খুঁজে পান। বাকি ৪০ শতাংশ নির্ভর করে ব্যক্তির নিজের ওপর। কীভাবে সুখী
মানুষ প্রতিনিয়ত সুখী থাকেন, সে উপায় জানা থাকলে অন্যদেরও হয়তো দুঃখ ঘুচতে
কিছুটা সাহায্য হবে।
সুখী মানুষ সবসময় অনেক মানুষের মাঝে থাকতে পছন্দ করেন। অনেকের সঙ্গে
আড্ডা, ঘুরে রেড়ানোয় তারা সুখ খুঁজে পান। একা একা থাকাকে তারা পছন্দ করেন
না। তারা সবসময় সুখী থাকতে পছন্দ করেন। অল্পতেই অখুশি হওয়ার কথা চিন্তাও
করেন না। কারণ তারা জানেন, জীবনে অনেক কিছুতে এড়িয়ে যেতে হয়। ক্ষুদ্র বিষয়
নিয়ে নিজের সুখ বিসর্জন দিতে তারা ইচ্ছুক নন।
প্রকৃত সুখী মানুষ অল্পতেই তুষ্ট থাকেন। ভালো যেকোনো কিছুর সঙ্গেই তারা
থাকেন। হোক সেটা বড় বা ছোট। তাদের মূল চাওয়া হলো সুখী থাকা। আইসক্রিম খেয়ে,
বাসার পোষা প্রাণী নিয়ে, এমনকি কার্টুন দেখেও এ মানুষ সুখে থাকতে পারেন।
২৪ ঘণ্টা মানুষের জন্য ব্যয় করলে তেমন একটা ক্ষতি হয় না— ঠিক এমনটাই ভাবেন
সুখী মানুষ। অন্যের উপকার করে এ মানুষ আরো সুখী হন। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে
সুখী মানুষই সবচেয়ে এগিয়ে থাকেন।
সুখী মানুষ মানেই ইতিবাচক লোক। একজন ইতিবাচক ব্যক্তি অন্যের কথার
গুরুত্ব দেন। আর তখনই আলোচনা জমে ওঠে। এতে সম্পর্কও সুন্দর হয়। তাতে
ঝগড়া-বিবাদের জায়গা নেই বললেই চলে। আর ঝগড়া-বিবাদহীন মানুষ সুখী হওয়াটাই
স্বাভাবিক। তারা গানও শোনেন। সঙ্গীতপ্রিয় মানুষ মানেই সুখী। সঙ্গীত মানুষের
মনকে কমল করে তোলে। তার রুচিরও পরিবর্তন ঘটায়। একজন সুখী মানুষ সুযোগ
পেলেই ঘুরতে বের হয়ে যান। নানা কাজের মাঝে বিরক্তি আসাটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু তিনি যে সুখী মানুষ। তাই দূরের কোনো অজানায় চলে যেতে তার সামনে নানা
রকম বাধা এসে উপস্থিত হয় না। কিছু দিন কাটিয়ে আসেন মনের মতো কোনো স্থান
থেকে। তাদের হাসিও অফুরান। হাসি হলো সুখে থাকার সবচেয়ে বড় ওষুধ। তাই সুখী
মানুষ হাসতে কার্পণ্য করেন না।
যার কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না, তার ভালো ঘুম হয়। একজন সুখী মানুষ তার
নিদ্রায় কখনো ব্যাঘাত ঘটান না। নিয়মিত ঘুম তার সব ক্লান্তি দূর করে, যা
তাকে আরো সুখী করে তোলে। রোগ-শোক নিয়ে তো আর সুখে থাকা যায় না।
0 comments:
Post a Comment