স্বাস্থ্য
ডেস্ক: ০৫ মার্চ (টাইমস অফ বাংলা) : হতাশাবাদীরা বেশিদিন বাঁচে বলে নতুন
এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যালে অ্যাসোসিয়েশনের এক গবেষণা
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশা করে না তারা
আশাবাদীদের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে। এমনকি তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও হয়।
গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক ফ্রায়েদের ল্যাং বলেন, “সুন্দর ভবিষ্যত
নিয়ে যারা বেশি স্বপ্ন দেখে তাদের পরবর্তী দশকের মধ্যে প্রতিবন্ধী হবার
সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমনকি তাদের মৃত্যুও হতে পারে। ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা
মানুষকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রতি বেশ সতর্ক হয়ে বাঁচতে অনুপ্রাণিত
করে।”
ল্যাং এবং তার সহকর্মীরা ১৯৯৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ১৮ থেকে ৯৬ বছর
বয়সী ৪০ হাজার মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাদের গবেষণা পরিচালনা করেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণকারীদের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে প্রত্যেককে তারা বর্তমানে কতটুকু সুখী এবং পাঁচ বছর পর কতটুকু সুখী হবে সে বিষয়ে রেটিং করতে বলা হয়।
পাঁচ বছর পর তারা আবার একই সাক্ষাৎকারের পুনরাবৃত্তি করেন। এবার তারা
দেখতে পান ৪৩ শতাংশ মানুষ তাদের ভবিষ্যত সুখের পরিমাণ অবমূল্যায়ন করেছিলেন।
অন্যদিকে ২৫ শতাংশ মানুষ সঠিক অনুমান করেছিলেন এবং ৩২ শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত অনুমান করেছিলেন।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, যারা অতিরিক্ত অনুমান করেছিলেন তাদের মধ্যে
প্রতিবন্ধী হবার হার বেড়েছিল নয় দশমিক ৫ শতাংশ। আর মৃত্যুঝুঁকির হার
বেড়েছিল ১০ শতাংশ।
ল্যাং বলেন, “আমাদের গবেষণা থেকে বেশ অদ্ভুত ফলাফল পেয়েছি। আমরা দেখেছি আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধী হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।”
মূলত নতুন এই গবেষণার তথ্য পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর তথ্যের সঙ্গে
অসঙ্গতিপূর্ণ। কারণ আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
মানুষের ওপর জৈবিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম এবং মানুষকে বেশিদিন বেঁচে থাকতে
সহায়তা করে।
এ প্রসঙ্গে ল্যাং বলেন, “আশাবাদী বা নিরাশাবাদী মনোভাবের ফলাফল আসলে বয়স
এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে মানুষকে
সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপনের সম্ভাবনা বাড়ানোর অনুকূলে বা প্রতিকূলে
কাজ করতে উদ্বুব্ধ করতে পারে কেবল সে বিষয়ে আমাদের এই গবেষণা নতুন তথ্য
দিয়েছে।” সূত্র: ওয়েবসাইট
0 comments:
Post a Comment