ফল খেলে কমবে ডায়বেটিসের সম্ভবনা। আবার ফলের রস খেলেই তা বেড়ে যাবে
অনেক গুণ। এমনটাই জানা গেল একটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত
রিপোর্ট অনুযায়ী।
গত ২৫ বছর ধরে ১, ৮৭, ০০০ জন মার্কিনির খাদ্যাভ্যাসের ওপর পরীক্ষা
নিরীক্ষা চালিয়ে জানা গেছে ব্লুবেরির মধ্যে রয়েছে ডায়বেটিসের সঙ্গে
মোকাবিলার প্রয়োজনীয় উপদান। একটি ব্লুবেরি খেলেই ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায় ২৬% পর্যন্ত। যা অন্যান্য ফলের তুলনায় ২% শতাংশ বেশি।
ব্লুবেরি ছাড়াও আপেল, ন্যাসপাতি, আঙুর ও কিসমিসের মধ্যেও রয়েছে একই গুণ। গবেষকরা রিপোর্টে লিখেছেন, ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাইবার,
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য উপাদান থাকে যেগুলো ডায়বেটিসে আক্রান্ত
হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। কোন ফল কীভাবে কাজ করে? আপেল- আপেল শুধু ডায়বেটিস নয়, কোলন ক্যান্সার, অণ্ডকোষের ক্যান্সার, এমনকী ফুসফুসের ক্যান্সার রুখতেও সাহায্য করে।
ন্যাসপাতি- ন্যাসপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও ভিটামিন সি। সোডিয়াম, ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমান খুব কম।
আঙুর- আঙুরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বিওয়ান, ফ্ল্যাভানয়েডস, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।
কিসমিস- আঙুরের মতই কিসমিস বাড়াতে পারে এনার্জি, কমাতে পারে অ্যাসিডিটি। এমনকী, সুস্থ যৌনজীবনের জন্য উপকারী কিসমিস।
ফল ছাড়াও যেই সব খাবার ডায়বেটিসের রুখতে উপকারী-
- ডায়েটে ময়দা ও চালের পরিমান কমানো
- আমন্ড সাহায্য করে ডায়বেটিস কমাতে
- প্রতিদিন মাছ খেলেও ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে
- ডায়েটে খাসির মাংসের পরিমান কমালেও ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে
- আমন্ড সাহায্য করে ডায়বেটিস কমাতে
- প্রতিদিন মাছ খেলেও ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে
- ডায়েটে খাসির মাংসের পরিমান কমালেও ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে
ভারতেও দিন দিন বাড়ছে ডায়বেটিসে আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা। আধুনিক
জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ধুমপান ও মদ্যপান এবং
অসচেতনতার ফলেই দিন গিন বাড়ছে ডায়বেটিস। এখন ভারতের প্রতি ৬ জনের ১ জন
ডায়বেটিসে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,
- ভারতের জনসংখ্যার ৮৫% কোনওদিন ডায়বেটিস পরীক্ষাই করায় না
- প্রতি ৩ জন ভারতীয়র ১ জন অতিরিক্ত ওজনের শিকার
- জীবনযাপনের ধরন বদলাচ্ছে
- ডায়বেটিস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব
- প্রতি ৩ জন ভারতীয়র ১ জন অতিরিক্ত ওজনের শিকার
- জীবনযাপনের ধরন বদলাচ্ছে
- ডায়বেটিস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়বেটিস হতে চলেছে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অসুখ।
0 comments:
Post a Comment