বিয়ের পর সংসার ভেঙে যাওয়া বর্তমান সময়ে খুব বেড়ে গেছে। ভালবেসেই হোক আর
পরিবারের পছন্দ মতোই হোক, এ যুগের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বন্ধনটা খুব দ্রুতই
ছিঁড়ে যাচ্ছে। পারিবারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ হয়ে পড়ছে ক্ষণস্থায়ী। তাই মানুষের
এই পবিত্র বন্ধনটিকে টিকিয়ে রাখার নানা কৌশল আর উপায় খুঁজে বের করা হচ্ছে-
কেউ ভাবেন অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতাই এর জন্য দায়ী। আবার অনেকের কাছেই পরজনে
আসক্তি সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ। এ সবকিছু নিয়ে ব্যাপক বিচার বিবেচনার
পর শেঁকড় সন্ধানের চেষ্টা করেছেন জ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞরা বিয়ের শর্তে প্রেমের বিষয়টাকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে করে
একে অপরকে বোঝার অনেক সময় পান। একজনের পুরো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অপরেরটি
মিলিয়ে দেখা যায় কোন জায়গাগুলোতে সমস্যা রয়েছে।
তবে তার চেয়ে অধিক ভালো ‘লিভ টুগেদার’। এ বিষয়টিকে সবচেয়ে আদর্শ বলে মনে
করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে যুগলেরা পরস্পরকে একেবারে কাঁচের মতো পরিস্কার করে
দেখতে পায়। কপোত-কপোতিরা মনে রাখবেন, যে মানুষটিকে আপনি বেছে নিতে যাচ্ছেন
বা ভালবাসছেন, তার সাথে আপনার বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে হবে।
মনের মিল ছাড়াও আপনাদের বাহ্যিক মিলটিও কিন্তু বেশ কাজের। যুগলদের
সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কাউন্সিলিং করেন এমন অধিকাংশের মতে, আপনারা
যুগলবন্দী, একে অপরকে ছাড়া থাকতেই পারেন না। শুধু মনের দিক থেকেই নয়,
আপনারা কাজের দিক থেকেও অনেক কিছু একসাথে করতে পারেন। সকালে হালকা
ব্যায়ামের কাজটিও একসাথে করতে পারেন, একসাথে খাবার খেতে পারেন, কোনো
সামাজিক অনুষ্ঠানে রঙ বা সাজসজ্জায় মিল রেখে পোশাক পরতে পারেন ইত্যাদি।
তাহলে দেখবেন, একজন আরেকজনের চোখে রীতিমতো অপূর্ব সুন্দর হয়ে উঠছেন। আর
মানুষ যখন আপনাদের এই মিল দেখে প্রশংসা করবেন, তখন দেখবেন কী ভালটাই না
লাগে।
0 comments:
Post a Comment