ঢাকা, ০৫ মে (টাইমস অফ বাংলা) : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌনতার সম্পর্ক
স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় দুজনের কারো যদি ঘাটতি
থাকে তবে দাম্পত্য কলহ দেখা দিতে পারে। ঘটতে পারে বিবাহ-বিচ্ছেদও।
দাম্পত্য জীবন মধুর করে তুলতে তাই চেষ্টার অন্ত নেই। অক্ষমতা দূর করতে
মানুষ গ্রহণ করছে যৌনশক্তি বর্ধক নানা ওষুধ।
কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়ানোর এই তালিকায় ভায়াগ্রার অবস্থান
শীর্ষে। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এ নীলাভ ট্যাবলেটটি ঝুঁকিপূর্ণ
বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অবশেষে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক
ভায়াগ্রার সন্ধান দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি
করতে ভায়াগ্রার মতই কার্যকর আমাদের অতি পরিচিত ফল তরমুজ।
সম্প্রতি টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দম্পতিদের এই
সুখবর দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এখন থেকে আর ভায়াগ্রার পেছনে অর্থ না ঢেলে
তরমুজে আস্থা রাখলেই চলবে। নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির
দিক থেকে অক্ষম বা দুর্বল, তাদের সক্ষমতার জন্য তরমুজই প্রাকৃতিক
প্রতিষেধক।
নাইট্রিক এসিড মানবদেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনির প্রসারণের কারণেই মানুষের
বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। ভায়াগ্রা দেহের নাইট্রিক এসিডকে সক্রিয় করার
মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, একটি তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিডের
পরিমাণ এত বেশি, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। মানবদেহ
সিট্রোলিনকে আর-জিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে
ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো এসিড, যা নাইট্রিক এসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ
করে। আর এ কারণেই তরমুজ ভায়াগ্রা-গুণে গুণান্বিত।
অবশ্য গবেষকরা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে
একজন অক্ষম লোককে দিনে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে। এ নিয়ে তাদের
গবেষণা চলছে।
তবে গবেষণার এ ফলকে সবাই এক বাক্যে এখনো মেনে নেননি। দি জার্নাল অফ
সেক্সুয়াল মেডিসিন’-এর প্রধান সম্পাদক ইরউয়িন গোল্ডস্টেইন বলেন, বিশেষ
অঙ্গের উত্তেজনার জন্য অবশ্যই নাইট্রিক এসিড দরকার। কিন্তু বেশি করে তরমুজ
খেলেই তা প্রাকৃতিকভাবেই একই কাজটি করে দেবে, এটা এখনো অকাট্যভাবে প্রমাণিত
নয়।
0 comments:
Post a Comment