দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা
গেছে, পরিমিত মাত্রায় কফি সেবনে নারী ও পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা
৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। হতাশা ও নেতিবাচক মানসিকতা দূর করে।
হার্ভাড স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা বলছেন, ক্যাফেইনসমৃদ্ধ কফি
পানের অভ্যাস আত্মহত্যা ও বিষণ্নতার ঝুঁকি কমায়। গবেষকরা দিনে ২ থেকে ৪
কাপ কফি পানকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে কফি পানে অভ্যস্ত নন বা ক্যাফেইনবিহীন
কফি পান করেন, এমন ব্যক্তিদের ওপর তুলনামূলক জরিপ চালান।
গবেষণাপত্রটি ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব বায়োলজিক্যাল সাইকিয়াট্রিতে
প্রকাশিত হয়েছে। ১৬ বছর ধরে ২ লাখেরও বেশি মানুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত
হয়।
তুলনামূলক এ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যারা দিনে ২ থেকে ৪ কাপ
ক্যাফেইনসমৃদ্ধ কফি পান করেন, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা ৫০ শতাংশ কম।
প্রধান গবেষক মিচেল লুকাস এক বিবৃতিতে ক্যাফেইনসমৃদ্ধ ও ক্যাফেইনবিহীন কফি
পানের পার্থক্য এ গবেষণার ফলে সুস্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন।
২০১১ সালে হার্ভাডের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, যে নারীরা পরিমিত
মাত্রায় কফি পানে অভ্যস্ত, তাদের বিষণ্নতায় ভোগার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কম। কফি
পান করেন না এমন একটি দলের নারীদের সঙ্গে তাদের তুলনামূলক পর্যালোচনা করা
হয়েছিল।
তবে ২ বা ৩ কাপের বেশি কফি পান করলেই যে বেশি উপকারিত পাওয়া যাবে
ব্যাপারটা সেরকম নয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি পানের
প্রয়োজন নেই।
তাই ঘুম থেকে উঠে সকালবেলার নাস্তার সঙ্গে গরম কফির কাপে চুমুকটা দেয়া যেতেই পারে।
0 comments:
Post a Comment