কেমন পুরুষকে সঙ্গী হিসেবে চায় মেয়েরা?


সঙ্গী হিসেবে কেমন পুরুষকে কল্পনা করেন একজন নারী? সেটা হয়তো একজন নারীর কাছে জানতে চাওয়া হলেই বেরিয়ে আসবে। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কগুলো দীর্ঘস্থায়ী করার মূলমন্ত্রের একটি অংশ কিন্তু পুরুষদেরই হাতে। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েদের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে পুরুষদের স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা অপরিহার্য। সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এমন ৩টি পরামর্শ দিয়েছেন, যেগুলো অনুসরণ করলে সঙ্গিনীর মন জয়ে সক্ষম হবেন পুরুষ সঙ্গীটি:


সৎ ও বিশ্বস্ত থাকুন: যে কোন মেয়েই চায় তার পুরুষ সঙ্গীটি সৎ ও বিশ্বস্ত হবে। সততাই সবচেয়ে বড় মাপকাঠিগুলোর একটি যা দিয়ে পুরুষকে যাচাই করেন নারীরা। আপনি যদি কখনও কোন মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং পরে কোনভাবে আপনার সঙ্গিনী সেটা জানতে পারেন, তবে তিনি আপনাকে খুব সহজে ক্ষমা করবেন না। তবে, এ ধরনের ভুল একবার হওয়ার পর তার কাছে আপনি যদি সত্যিটা স্বীকার করেন ও একটা সুযোগ চান, নিশ্চয়ই তিনি এ সৎ সাহসের মূল্যায়ন করবেন। তাই স্ত্রী বা প্রেয়সীর কাছে নিজের এমন ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন, যাতে তিনি আপনার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন। এটা একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। কারণ, তারা এমন সঙ্গী খোঁজে যাদের তারা চোখ বন্ধ করেই বিশ্বাস করতে পারে।


শোনার দক্ষতা বাড়ান: আপনি যদি কোন নারীর সঙ্গে একটি সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক চান, তবে নিঃসন্দেহে আপনার শোনার দক্ষতাটা অনেকটা বাড়াতে হবে। তার সব সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তবে, প্রতিবার তাকে সমস্যার সমাধান দিতে যাবেন না। কারণ, একটি মেয়ে চায় তার কথা কেউ শুনুক। তাকে গুরুত্ব দিক, যাতে সে কিছুটা হাল্কা হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। সমাধানটা হয়তো তার নিজেরই জানা। স্ত্রী হয়তো নিজের ভুলেই সমস্যায় জড়িয়েছেন। কিন্তু, এজন্য তাকে তিরস্কার করবেন না। বরং, তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিন।


পরিণত হয়ে উঠুন: মেয়েরা পুরুষদের আগেই পরিণত হয়। পরিপক্কতা আসার ক্ষেত্রে পুরুষরা প্রথমে সময়ের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও, পরে সেটা পুষিয়ে নেয়। পরিবেশ, পরিস্থিতি পাল্টে দেয় তাদের ধ্যান-ধারণা। কোন পুরুষের তার সঙ্গিনীর ওপর ঠিক ততোটা নির্ভর করা উচিত, যা তাকে বিরক্ত করবে না। সারা জীবন কাটানোর জন্য তার নিজেরও একজন অভিভাবক প্রয়োজন। মেয়েরা এমন পুরুষকে খোঁজেন যিনি হবেন বুদ্ধিতে পরিণত, শান্ত স্বভাবের এবং আবেগ যার নিজের নিয়ন্ত্রণে। খারাপ সময়গুলো পার করার ক্ষমতা আপনার রয়েছে, সেটা তার কাছে প্রমাণ করুন। সমস্যা থেকে পালিয়ে বাঁচার প্রবণতা আপনার মধ্যে নেই ও সৎ থাকতে পিছপা হন না আপনি, সেটা সঙ্গিনীর কাছে প্রমাণ করুন। আবেগতাড়িত হওয়া ভাল। কিন্তু, সেটা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। আপনি ঝুঁকি নিলেও সেটা পরিস্থিতি বুঝে-শুনে তবেই নিন। এ ব্যাপারটাও তাকে আকৃষ্ট করবে।

Related Posts:

  • সঙ্গিনী যখন বয়সে বড় স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কটি শুধু সম্পর্কের বেড়াজালের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, সব কিছু ছাপিয়ে জীবনের অংশ হয়ে উঠে তা। অন্য সব সম্পর্কের মত … Read More
  • আসবে যখন দ্বিতীয় সন্তান সন্তান থাকে মা-বাবার অস্তিত্ব জুড়ে। সন্তানকে ঘিরেই গড়ে ওঠে তাঁদের পৃথিবী। আর সন্তান যদি হয় একমাত্র, তাহলে তো কথাই নেই! সমস্ত চিন্তা-চেতনা জ… Read More
  • রক্ষা করুন বন্ধুত্ব যদি জানতে চাই, পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মল সম্পর্কের নাম কি? জানি, চোখ বুজে সবাই বলবে বন্ধুত্ব! বন্ধু মানে আত্মার আত্মীয়, যে আত্মীয়তা কখনো কখনো র… Read More
  • বয়ঃসন্ধির বিশেষ ক্ষণে... বয়ঃসন্ধিকাল - খুবই স্পর্শকাতর একটা সময়। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণের এই সময় বেশ অন্যরকমও বটে। এই সময় শরীর এবং মনে আসে নানা রকমের পরিবর্তন… Read More
  • দাম্পত্য কলহ যখন শ্বশুর-শাশুড়ির দীর্ঘদিন একসাথে থাকার পর জীবনসায়াহ্নে এসে অনেককেই দেখা যায় জীবনসাথীর সাথে ঝগড়া করতে! হয়তো তাঁরা আগে কখনোই ঝগড়া করেননি, শেষ বয়সে এসে করছে… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!