নির্জন নির্লজ্জতায় নগ্নতা!


প্রদীপখানি ফিরতে অনিচ্ছুক রক্তচক্ষুতে দেখছে স্বর্গীয়তা,

প্রণয় প্রলেপ সর্বত্র বুলিয়ে সে কষ্টটুকুর সামান্য বহিঃপ্রকাশ!

বিদায় লগ্নে তার পেছন ফিরে তাকানো মুহূর্ত দেখছি-

দেখছি সে ক্ষণের অসামান্য শিল্পকর্ম জীবন্ত!

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাতর হওয়া পাথর নয়,

ক্ষণ এখন দৃষ্টিসুখের প্রচণ্ডতায় আগ্রাসী স্বপ্নময়!

দু’চোখ ভরে তাই রক্তমাংস দেখছি,

দেখছি হিংস্রতাকে ধারণ করা পাষবিকতাকে,

মুখোশে আড়াল থাকার ভয়াবহতা আড়াল করাকে

এ ক্ষণের ব্রত করার আকুলতাকে ধারণ করাকে!

স্পন্দনরত আগ্নেয়গিরি সন্নিকট প্রাণবন্ত-

দেখছি লালচে আভায় জ্বলন্ত খন্ড খন্ড অগ্নিকুন্ড।

মায়াময় ইন্দ্রজালে নিষ্ঠুর গ্রাস করবার তরে,

নিয়ত স্পন্দিত সে তপ্ত চঞ্চলতার আধার দ্রুততর প্রতিক্ষণে

আচ্ছাদিত করে নগ্নতাকে ধন্য হবার আহ্বানে!

আগ্নেয়গিরি ছোঁয়ার ধৃষ্টতা পেয়ে বসে কাংখিতায় চেয়ে,

ঠোঁটময় সে লাভা স্পর্শের অবাধ্য সাক্ষ্য!

ঠোঁটময় সে লাভা স্পর্শের অবাধ্য আহ্বানে পান করো,

তৃষ্ণার্ত তরে অমৃত অমূল্য অধর!

তোমার জগত উষ্ণ বড্ড, শূন্যতা নিতান্ত শীতার্ত,

তোমার সর্বময় খুঁতহীন বড্ড আমি নিতান্ত ক্ষুধার্ত!

চর্ম চক্ষু জুড়ে সংকল্প আঁকবো প্রণয়লোকের প্রতিচ্ছবি,

আঁধার খুঁজছে তাই নিতান্ত ন্যায্য আহ্বান!

দূরত্ব খুঁজছে বিলুপ্ত হবার সামান্য অজুহাত!

তপ্ত-আর্দ্র বালুচর যেন চোরাবালির অস্তিত্বের শঙ্কা জাগায়,

তবু প্রচন্ড মোহময় তার আহ্বানের প্রচন্ডতা!

জাগতিক সমস্ত লজ্জাবোধ বিসর্জিত হোক,

এ ক্ষণ যে আধ্যাত্মিকতার!

এ ক্ষণ শুধু অভিশপ্ত আত্মাদের পাপ মোচনের,

কোন ভয়াবহ খেলায় ক্ষণিক শাপ মোচনের!

মুহূর্তের জাদুকরীতায় আকর্ষিত ব্রহ্মাণ্ডকে হাতছানি

কামনা হাতছানির চুড়ান্তে, করবে উন্মাদনায় মাতাল,

পতিত করবে তপ্ত চোরাবালির কেন্দ্রে,

গ্রাস করবে ক্ষিপ্ত যন্ত্রণাকে।।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!