গরমে মানেই প্যাচপ্যাচে ঘাম, বিরক্তি আর হাজারো সমস্যা। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো এটা খুব বেশি হয়। তাই বাচ্চাদের জন্য আমাদের কিছু `ডু` আর `ডু নট` । গরমে শিশুদের সাধারণত যে সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে জলবসন্ত, ফুসকুড়ি, পেট খারাপ, ত্বকের অসুখ, ঠাণ্ডার সমস্যা। তাই শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে এসব সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব। তাই আপনার জন্য থাকল কিছু `ডু নট` টিপস।
কী করবেন না--
রোদ থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন-একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাচ্চাদের রোদে বের করবেন না। তবে স্কুলে তো যেতেই হবে... স্কুলের গাড়ি না থাকলে অবশ্য ছাতা ব্যবহার করুন। জলের বোতল অবশ্যই দেবেন। আর হ্যাঁ না হাঁটিয়ে রিক্সা অথবা অটো ব্যবহার করুন। স্কুলের গেট থেকে বেরনোর পরই মুখে চোখে জল দিয়ে দিন। আর অনেকটা রাস্তা হেঁটে যেতে বাধ্য হলে মাঝে কোথাও বসিয়ে বিশ্রাম নিয়ে নিতে দিন।
পরিষ্কার রাখুন-- এই সময় শিশুদের যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখুন। পাউডার লাগানোটা খুব জরুরি। গরমে শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এটা সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। এই র্যাশ বা ফুসকুড়ি চুলকানোর কারণে শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত স্নান করিয়ে পরিষ্কার জামা পরাতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গাগুলোতে বেবি পাউডার লাগাতে পারেন। এতে চুলকানি কিছুটা কমে যাবে। তবে যে কোনও পাউডার ব্যবহার করবেন না।
চুল বড় রাখবেন না-- এই গরমে আপনার চুলের দিকে নজর দিতে হবে। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়, সঙ্গে ধুলোবালির আক্রমণ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধে প্রথমেই শিশুদের চুলের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে চুলের ত্বকে খুশকি বা ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই চুল ছেঁটে ছোট করে দিতে হবে। এতে চুলের গোড়া ঘেমে গেলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
ডাক্তারের পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন না-- নিজে ডাক্তারি ফলাতে যাবেন না। ডাক্তাররা তো অনেক কথাই বলে, ওসব আমাদের জন্য নয়। এসব কথাগুলো বলে সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। বাচ্চারা কোনও সমস্যার কথা বললে মন দিয়ে শুনুন। সমাধানটার জন্য ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াটাই ভাল। যত্ন নিন, কিন্তু অতিরিক্ত যত্ন নিতে যাবেন না।
0 comments:
Post a Comment