অনলাইন আমাদের চারিদিক থেকে ধীরে ধরেছে। বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমগুলো মাদকের মতো টেনে নিচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। এর ওপর আবার যুক্ত হয়েছে অনলাইন বিজনেস। তবে অনলাইন আসক্তদের সতর্কবাণী শোনাচ্ছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা অনলাইনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন, তাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্রাউজিংয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে তা স্মৃতিকে আঘাত করে।
বিশেষজ্ঞদের এ বক্তব্য কখনও অনলাইন-আসক্তদের মুখেই শোনা যায়। মাঝে-সাঝে তাদের বলতে শোনা যায়, হ্যাঙ হয়ে গেছি! মাথা কাজ করছে না।
গবেষক এরিক ফ্রানসেন বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্রাউজ করতে করতে এক সময় ব্যবহারকারীর মস্তিষ্ক তথ্যের ভারে জবুথবু হয়ে যায়। আর এ কারণে খুব কম তথ্যই তার মস্তিষ্কে জমা হয়।
এই সমস্যাটা দেখা দেয় মস্তিষ্ক ব্যবস্থায় যা ওয়ার্কিং মেমোরি বলে পরিচিত। অনেকে একে আবার স্বল্প-স্থায়ী স্মৃতি হিসেবে জানেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে মস্তিষ্কের এ ব্যবস্থার।
এরিক ফ্রানসেন বলেন, ‘তথ্য ছাঁকতে (ফিল্টার করতে) এবং কোনটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন তা নির্বাচনে সহায়তা করে ওয়ার্কিং মেমোরি। এটি চলমানভাবে কাজ করতে ও চলমান যোগাযোগের কোনটি প্রয়োজনীয় তা সংগ্রহে সহায়তা করে কিন্তু এটি সীমিত।
মানুষের ওয়ার্কিং মেমোরি তিন থেকে চারটি আইটেম ধারণ করতে পারে। কিন্তু যখন ওয়ার্কিং মেমোরিতে ঠাসাঠাসি করে তথ্য রাখতে চেষ্টা করি, তখনই তা আর কাজ করে না।
0 comments:
Post a Comment