কক্সবাজার
প্রতিনিধি: সময়ের আলোচিত-সমালোচিত সব পর্নো তারকাদের পিছনে ফেলে এবার
নিজেকে নীল জগতের বাসিন্দা বানালেন কক্সবাজারের চকরিয়া সেন্ট্রাল
হাসপাতালে কর্মরত ডা. ইসরাত জাহান শিল্পী। কিন্তু ইসরাত জাহান শিল্পী
বললেন, নতুন নয় খবরটি পুরনো। স্বামী পরিচয়ী এক লম্পট তার এই সর্বনাশ
করেছিল বলে অনেকদিন আগে তিনি এ ব্যাপারে মামলাও করেছিলেন। বর্তমানে তা
কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে তদন্তাধীন। ডিবি পুলিশে খবর নিয়ে জানা
গেছে, শিল্পীর দায়েরকৃত মামলাটি এর আগেও একবার তদন্ত হয়েছে। বাদির
নারাজির প্রেক্ষিতে তারা পুনঃ তদন্ত করছে মাত্র। তবে মামলায় শিল্পী যাকে
স্বামী বলে দাবি করছেন, তাকে বিয়ে করার স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ নেই।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালে কর্মরত ডা. পরিচয়ী উক্ত ইসরাত জাহান আসলে এমবিবিএস কিংবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চ প্রশিক্ষিত কোন চিকিৎসক নন। তিনি মূলত একজন ধাত্রী। তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায়, সিপিএম (আইসিডিডিআরবি) মা, শিশু স্বাস্থ্য ও ধাত্রী বিদ্যায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাভার ঢাকাসহ হরেক রোগি আকৃষ্টকরণ কৌশল।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে হালের বিতর্কিত উক্ত শিল্পীর অতীত ইতিহাস সহ পিলে চমকানো নানা অজানা তথ্য।
জানা গেছে, বর্তমানে তার ধারণকৃত অশ্লীল এই নীল ছবি শুধু চকরিয়া নয়, পুরো কক্সবাজার তথা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। স্কুল কলেজে পড়-য়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ দোকানদার, রিক্সাওয়ালা, কুলিসহ নানা পেশার অগণিত মানুষ তার এই অনৈতিক দৃশ্য দেখে হতবাক হওয়ার পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। সূত্র মতে, চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া উক্ত ডা. শিল্পীর পিতা ছিলেন স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মর্মান্তিক এক সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি মারা যান। শিল্পীর মাও একজন শিক্ষিত ভদ্র মহিলা। তিনি বর্তমানে হারবাংয়ের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকত করছেন।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, শিল্পী এমন ছিলেন না, একসময় অন্য দশ গ্রামীণ সাধারণ ভদ্র মহিলার মত স্বামীর সংসার ছিল তার। ওই ঘরে একটি বাচ্চা নিয়ে প্রাক্তন বিডিআর স্বামী তার সাথে বিচ্ছেদ ঘটালেই মূলত তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবনে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার আরেকটি সন্তান ভূমিষ্ট হয়। কিন্তু বিধিবাম এই সন্তানটির জন্ম ও তার পর্নো ছবি ছড়িয়ে পড়াসহ হরেক কারণেই তিনি এখন আলোচিত সমালোচিত।
কেউ বলছেন, তিনি নষ্টা মেয়ে, আবার কেউ বলছেন চলনে-বলনে তার অপরূপ দৈহিক সৌন্দর্য্যই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শিল্পীর। লম্পটরা কোন অবস্থায় তার পিছু ছাড়ছেন না বলেই শুধু শারীরিক সৌন্দর্যকে পূঁজি করে এমবিবিএস পাশ না করেও তিনি একের পর এক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেম্বার করছেন। জানা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষায় খুব বেশি জ্ঞান ও বুদ্ধি না থাকলেও ডা. পরিচয় দিয়ে শিল্পী চকরিয়ার স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল হাসপাতাল ছাড়াও হারবাং শান্তা মেডিকেল হল এবং মহেশখালী কালারমারছড়ার করিম ফার্মেসীতে নিয়মিত চেম্বার করছেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে মহেশখালীর করিম ফার্মেসীতে তিনি এখন চেম্বার করেন না। কালারমারছড়া এলাকার জনৈক শামশু মাস্টার নামক এক ব্যক্তির সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে শামশু মাস্টার প্রায়শ শিল্পীর চকরিয়ার বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের মধ্যেও ফাটল সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, শিল্পী শামশু মাস্টারের কাছ থেকে প্রেমের অভিনয়ে অনেক টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে তাকে দেউলিয়া বানিয়ে দিয়েছেন। অসমর্থিত সূত্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই তথ্যসহ ডা. শিল্পীর পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে শিষ্টাচার বর্জিত আচরণ করে তিনি ফোন কেটে দেন। এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে তার মুঠোফোনে এসএমএস দিয়েও গ্রহণযোগ্য কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, পর্ণো ভিডিও চিত্র নিয়ে পিছিয়ে নেই দেশের শীর্ষ অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেল, উপস্থাপক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার থেকে শুরু করে গৃহ বধূরা। এমনকি নাম করা হাসপাতালের ডাক্তার কিংবা নার্স এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বাদ যাচ্ছে না এই পর্ণোগ্রাফি’র ছোবল থেকে।
বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শিল্পপতি, নিম্নবিত্ত রিক্সাওয়ালা, টমটম, বাইক, মাহিন্দ্রা, সিএনজি ড্রাইভার এমনকি পুরো দেশ আজ পর্ণোগ্রাফিতে সয়লাব। বিষয়টি মহামারি আকার ধারণ করায় দিন দিন নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে জাতি। কাজেই পর্নোগ্রাফির এই নীল ছোবল থেকে দেশ-জাতি, বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 comments:
Post a Comment