অনেকেই ওজন নিয়ে আছেন খুব চিন্তায়। কী করলে কী হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। হয়তো কম খাচ্ছেন, ব্যায়াম করছেন, কিন্তু ওজন কমছে না। আবার হজমের গণ্ডগোলে ভোগা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাদের জন্য স্পটসিফাই ডটকম খাবারের তালিকায় ১০টি আইটেমের কথা বলেছে, যা ওজন ও হজম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
ঝাল মরিচ: কাঁচা মরিচ অথবা যাকে লংকা বলে ভাতের সঙ্গে অনেকেই খেয়ে থাকেন। তবে এ পথ্য যে হজমশক্তি বাড়ায় তা ক’জন জানেন। মরিচে ক্যাপসাইসিন নামের এক ধরনের উপাদান বিদ্যমান, যা রক্ত চলাচল বাড়ায়। এতে হজমে সহায়তা হয়। এ উপাদান মূলত সন্তায়কে সজাগ ও কর্মক্ষম করে। ফলে হজমের জন্য সৃষ্ট যন্ত্রাদিও সক্রিয় থাকে।
শস্যদানা: শস্য থেকে তৈরি খাবার যেমন যব অথবা জই, গমের রুটি ইত্যাদি হজমশক্তি বাড়ায়। সকালে এসব খাবারে নাশতা সারলে দিনের শুরু থেকেই হজমের যন্ত্রটাকে সচল রাখা সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে, সকালের নাশতাই দিনের বাকি সময়ের শরীর ক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কফি: সকালে এক কাপ কফিও হজমে সহায়তা করে। কারণ এতে উপস্থিত ক্যাফেইন হজমকে উদ্দীপ্ত করে। এক কাপ কফিতে যে পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে, তা হজমশক্তিকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে। তার মানেই এই নয় যে, দিনে ১০ কাপ কফি পান হজমে বেশি সহায়তা করবে। সকালে অন্তত এক কাপ কফিই যথেষ্ট।
সবুজ চা: কফির চেয়ে বেশি পরিমাণে সবুজ চা পান করা যায়। এতে শরীরের ক্ষতি হয় না। বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন গবেষণায় সবুজ চায়ের শারীরিক উপকারিতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এর একটি হজমশক্তি বৃদ্ধি। এক কাপ সবুজ চা অন্তত ৪ শতাংশ হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সক্ষম। আর দিনের মধ্য ভাগে কয়েক কাপ সবুজ চা চনমনে রাখবে শরীর। এতে বিদ্যমান ক্যাটেচিন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
ঠাণ্ডা পানি: দিনে ছয়-সাত গ্লাস পানি খাওয়ার নিয়ম ক’জন পালন করেন! যারা করে থাকেন, তারা জানবেন পানি শরীরের হজম ক্ষমতা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ডিহাইড্রেশনের ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়, যা অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি করে। সে হিসেবে নিয়মিত পানি পান ওজন নিয়ন্ত্রণেও রাখে কার্যকর ভূমিকা।
আঙ্গুরজাতীয় ফল: আঙ্গুরজাতীয় ফলে আছে ভিটামিন ‘সি’। এ ভিটামিন কিন্তু হজমের রসায়নকে ত্বরান্বিত করে। এসব ফলে নারিনজেনিন নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এসব ফল শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
ব্রকলি: উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি ছাড়াও ভিটামিন ‘সি’, ‘কে’ ও ‘এ’-এর উপস্থিতির কারণেও ব্রকলিকে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। হজমশক্তি সক্রিয় রাখতে দিনের খাদ্যতালিকায় এ সবুজ সবজিকে অনেকেই অপরিহার্য মনে করেন।
দারচিনি: রান্নাকে সুবাসিত করতেই এর ব্যবহার। অনেকে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দারচিনি খেয়ে থাকেন। মরিচ, আদার মতো দারচিনিও হজম ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পর মুখে এক টুকরা দারচিনি দিতে পারেন। সকাল-বিকাল ও রাতে হজমের দাওয়াই হিসেবে দারচিনি খেয়ে থাকেন অনেকেই।
আপেল: এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, হজমে সহায়তা করে, অতিরিক্ত কিছু খাওয়ার অগ্রহ কমায়। ফলে হজম ও ওজন কমানো, হূদরোগ দূরে রাখাসহ যেকোনো কাজেই আপেল একটি উত্কৃষ্ট ফল।
স্যুপ: দিনে একবার সুপ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এতে তরল ও কঠিন উপাদানের যথাযথ সমন্বয় পাকস্থলীকে সময়ম্বর করে। এটি হজমেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, বিকালে অন্যান্য বাজে খাবার না খেয়ে স্যুপ খাওয়াই উত্তম।
0 comments:
Post a Comment