অক্সফোর্ডে ছাত্র ছাত্রীর নগ্ন উদ্যোগ!


ঢাকা : ভাবুনতো এক দুজন নয় ৭০ জন ছাত্র ছাত্রী নগ্ন হয়ে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। তবে কোন স্টুডিওতে নয় তারা পোজ দিয়েছেন খেলার মাঠে। তাও আবার বিভিন্ন খেলার বিভিন্ন ঢঙ্গে। এই ছাত্র ছাত্রী আবার যে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয় পড়ছে বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।কিন্তু কেন? ভাবছেন তাদের নতুন করে আবার নগ্ন হবার বাতিক হলো কেন? জী না পাঠক মেধাবীরা কোন কারণ ছাড়া কোন অঘটন ঘটায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ফান্ড তৈরিতে একটি চ্যারিটির জন্য নগ্ন হয়ে পোজ দিয়েছেন তারা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের খেলার প্রায় ৭০ জন সাহসী ব্লু ছাত্র ছাত্রী একটি ন্যূড চ্যারিটি ক্যালেন্ডার-২০১৪’র জন্য ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন। হকি, ক্রিকেট রাগবি, পোলো, বাস্কেটবলসহ প্রায় সব ধরনের খেলার মাঠেই তারা খেলার মুডে ছবি তোলার জন্য এই পোজ দেন।

তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নগ্ন হবার পেছনে একটি মহৎ কারণ রয়েছে। আর তা হল এই চ্যারিটি ছবি থেকে অর্জিত টাকা ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড ফুড ব্যাঙ্ক, এডুকেশন পার্টনারশিপ ফর আফ্রিকা, স্টুডেন্ট সাপোর্টিং ফর স্ট্রিট চিল্ডেন এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাতব্য কাজে।

ছাত্র ছাত্রীদের এই নগ্ন ছবি তুলতে ভাড়া করা হয়নি কোন চিত্রগ্রাহক। অক্সফোর্ডের নিজস্ব ফটোগ্রাফার টবি মাথার তুলেছেন ছাত্র ছাত্রীদের এই নগ্ন ছবি। টবি নিজেও অক্সফোর্ডের ছাত্র। ৭০ জন অক্সফোর্ড ব্লু চ্যারিটি ন্যাকড ক্যালে-ার ২০১৪’র জন্য ক্যামেরায় পোজ দেন।

এ ফোর সাইজের মাত্র ১০ কপি ক্যালেন্ডার ছাপা হয় ছাত্র ছাত্রীদের তত্ত্বাবধানেই। এই ৭০জন ব্লু’র সবাই অক্সফোর্ডের নিয়মিত শিক্ষার্থী। তবে ছবিগুলো করা হয়েছে সাদা কালোর কম্বাইন্ডে দেখে মনে হবে এক ঐতিহাসিক ছোঁয়া রয়েছে ছবিগুলোতে।

নগ্ন হওয়া ছাত্র ১৯ বছর বয়সী গ্রেস সেগাল বলেন, ‘এটি আসলেই অনেক আনন্দের বিষয় যে আমরা একটি মহৎ উদ্দেশ্যের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি। বায়োকেমিস্ট্রির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেগাল আরো বলেন, আমরা সেদিন প্রজাপতির মত উড়ছিলাম।’

রেবেকা বিব বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্র্ষের ছাত্রী। তিনি টেনিসের ব্লু। তিনি বলেন, ‘আমি এতে অংশ নিয়েছি কারন এটি অনেক আনন্দের একটি বিষয় আর এখান থেকে পাওয়া টাকা একটি মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় হবে।’

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগ ইভেন্টের সহ সভাপতি লুইস গ্রে বলেন, ‘ন্যূড হওয়ার এ উদ্যোগ কোন নতুন বিষয় নয়। তারা একটি বাজার ধরার উদ্দেশ্যে এটি করেছে।’

গত বছর এমন একটি চ্যারিটি থেকে আয় হয়েছিল কত জানেন? মাত্র ১ লাখ ইউরো!

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!