মৌমাছির বিষেই এইচআইভি বিনাশ

mou 

এইডস্-এর সম্ভাব্য নিরাময় আবিষ্কারের পথে আরেক ধাপ এগোলেন ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা৷ হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) নাশ করতে গত কয়েক দশক ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা৷ এতদিনে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখছেন তারা৷

ল্যাবরেটরিতে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে এতদিন৷ কিন্ত্ত এইচআইভি-র বাইরের আবরণ ভাঙতে পারে, এমন কোনো বিষ আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা৷ অবশেষে উপায় বেরলো৷ দাবি, মৌমাছির বিষেই নিয়তি লেখা আছে এইচআইভি-র৷

অতিক্ষুদ্র কণা, বিজ্ঞানের পরিভাষায় নাম ‘ন্যানো পার্টিকল’৷ আগামী দিনের বিজ্ঞান যে এই ‘ন্যানো পার্টিকল’-এর হাত ধরেই অনেক দূর যাবে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এমন আশা প্রকাশ করে এসেছেন একদল বিজ্ঞানী৷
অতি ক্ষুদ্র এই কণা (ন্যানো পার্টিকলস) এবং তাকে ঘিরে যে সম্ভাবনা তার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের এক নতুন শাখা ‘ন্যানোটেকনোলজি’৷ বিজ্ঞানীদের অনুমান ফলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই৷ জোশুয়া হুডের গবেষণা তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ৷

এইচআইভি-র বাইরের রক্ষণাত্মক স্তরটি ভাঙতে হুড ও তার সহযোগীরা পরীক্ষামূলক ভাবে অতি ক্ষুদ্র (ন্যানো) ক্যাপস্যুলের মধ্যে মৌমাছির বিষ ভরে দেখছিলেন৷ এই বিষে মেলিটিন নামে শক্তিশালী রাসায়নিকের উপস্থিতি জানতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷

এইচআইভি-র সংস্পর্শে ন্যানো ক্যাপস্যুল আসতেই তা ভেঙে গিয়ে মেলিটিন বেরিয়ে আসবে, এমনই পরিকল্পনা ছিল বিজ্ঞানীদের৷ বাস্তবে এমনটা হতেই ম্যাজিকের মতো কাজ৷ মেলিটিনের ছোঁয়া পেতেই রক্ষণাত্মক স্তর নষ্ট হয়ে গিয়ে একেবারেই দুর্বল হয়ে গেল ভাইরাস৷ ন্যানো পার্টিকল মানবকোষের চেয়ে এতই ছোট, তার মধ্যে রাখা বিষে মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন হুড৷

এই গবেষণা এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরে থাকলেও আগামী দিনে এতেই এইচআইভি-র চিকিৎসা করা সম্ভবপর হবে বলেই আশা বিজ্ঞানী মহলের৷ সূত্র: সংবাদসংস্থা

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!