কৃত্রিম হৃদযন্ত্র, বেঁচে থাকার আরেক মন্ত্র



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ১০ এপ্রিল (টাইমস অফ বাংলা) : ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই৷’ এ কিন্তু সবারই মনের কথা৷ কিন্তু হৃদযন্ত্র আর কাজ না করলে বাঁচবেন কি করে? কেন, কৃত্রিম হৃদযন্ত্র তো আছেই! জার্মানিতে কৃত্রিম হৃদযন্ত্রের চাহিদা বেড়েই চলেছে৷

মৃত্যুহার বাড়লে সমস্যা, কমলেও কিন্তু সমস্যা৷ কমার সমস্যার একটা ধরণ হালে জার্মানি খুব বেশি করে দেখছে৷ প্রবীণের সংখ্যা বাড়ছে৷ বয়স যত বাড়ে, শরীরের কলকব্জাও বিকল হতে থাকে৷ স্বাভাবিক এ নিয়মে জার্মানির অনেক প্রবীণেরই হৃদযন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করছে না৷ বিশেষ করে যার মাধ্যমে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের কাজটি হয় বলে মানুষ বেঁচে থাকে, হৃদযন্ত্রের সেই পাম্প নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকেরই৷ সেক্ষেত্রে কেউ দান করলেই সমস্যার সমাধান৷ তো এভাবে হৃদযন্ত্রের প্রতিস্থাপনেও দেখা দিয়েছে সমস্যা৷ চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সেই অনুপাতে সরবরাহ বাড়ছেনা৷ অঙ্গ দান করার লোক বাড়ছে না, সরবরাহ বাড়বে কি করে?

এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে কৃত্রিম পাম্পের দিকে ঝুঁকছেন সবাই৷ ক্যালিফোর্নিয়ার থোরাটেক কর্পোরেশনের তৈরি ‘হার্টমেট টু’-র এখন ব্যাপক চাহিদা৷ ক’দিন আগে হানোফার মেডিকেল স্কুলে হয়ে গেল জার্মানির ইতিহাসে কৃত্রিম পাম্পের এক হাজারতম সংস্থাপন৷ অঙ্গ দান করার মতো কাউকে না পেয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন জ্যান লুকাস হুয়েলবুস৷ কিন্তু মাত্র ৮ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি যন্ত্র দিব্যি বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁকে৷ মাত্র ২৮০ গ্রামের যন্ত্রটি শরীরে যে আছে খুব একটা টেরও পাননা৷ নতুন জীবন পেয়ে লুকাস খুবই খুশি৷

জার্মানিতে হৃৎপিণ্ড সংস্থাপন শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে৷ তবে গত বছর থেকে মাত্রা অনেক বেড়েছে৷ এক বছরেই হয়েছে ৮০০টি, অথচ আগের ২৫ বছরে হয়েছিল মাত্র ২০০টি৷

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!